চবির বাজেটে ভিসি-প্রোভিসির
আপ্যায়ন সাড়ে ১১ লাখ টাকা হলেও
গবেষণায় ১০ লাখ
শিবা চৌধুরী,চবি প্রতিনিধি
২৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর
গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে
১০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে
গবেষণার জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৪০
টাকা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়
ভিসি ও প্রোভিসির বার্ষিক
আপ্যায়ন ব্যয় হিসাবে বরাদ্দ রাখা
হয়েছে সাড়ে ১১ লাখ টাকা। শুক্রবার
বিকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)
সিনেটের ২৭তম বার্ষিক অধিবেশনে
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ
দেয়া হয়। এদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৬ কোটি ৬৬ লাখ
টাকার চাহিদার বিপরীতে ১৭৫
কোটি ৬০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
(ইউজিসি)।
চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি
ও বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের
অধ্যাপক ড. কামাল হোসাইন আলোকিত
বাংলাদেশকে বলেন, ২৫ হাজার
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য যদি ১০ লাখ
টাকা গবেষণা বরাদ্দ রাখা হয় তাহলে
মাথাপিছু বরাদ্দ দাঁড়ায় মাত্র ৪০
টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণার
জায়গা। কর্তা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন ব্যয়
যদি গবেষণা বরাদ্দের চেয়ে বেশি হয়
তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকেই
অনুৎসাহিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ইউজিসির
কাছে ২১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার
চাহিদা বাজেট প্রদান করা হয়। এর
বিপরীতে ইউজিসি ১৭৫ কোটি ৬০
লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ দেয়।
যেখানে চাহিদা ও বরাদ্দের মধ্যে
পার্থক্য হলো ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
সিন্ডিকেট ও ফিন্যান্স সভায়
ইউজিসি থেকে প্রাপ্ত মোট টাকাকে
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু
২৪ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর
গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ
টাকা চাহিদার বিপরীতে ইউজিসি
বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকা।
অথচ ভিসি ও প্রোভিসির আপ্যায়ন
ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সাড়ে
১১ লাখ টাকা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য
খাতের বরাদ্দ হচ্ছে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও
কর্মচারীদের বেতন খাতে ১১৫ কোটি
৬০ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ২৮
কোটি, সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ১৪
কোটি ৮৭ লাখ, শিক্ষা খাতে ১১
কোটি ৬৯ লাখ, মেরামত, সংরক্ষণ ও
পুনর্বাসন খাতে ২ কোটি ১৭ লাখ
টাকা।