Tuesday, September 1, 2015

on

ভেটেরিনারিয়ান হতে চাইলে!!!!

ভেটেরিনারিয়ান হতে চাইলে!!!!!

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষেরই
পেশা কৃষি কেন্দ্রিক। তাই এ দেশের
মানুষের উন্নয়নের অর্থ হচ্ছে কৃষিকে
উন্নত করা। আর কৃষিক্ষেত্রের বৈপ্লবিক
উন্নয়নের জন্য প্রাণী সম্পদের উন্নয়নও
অপরিহার্য। আর এ প্রাণী সম্পদের
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ
ভেটেরিনারিয়ান। প্রাণী
চিকিত্সকরাই সাধারণত
ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে
পরিচিত। দেশে প্রাণীদের নতুন নতুন
রোগের যেমন- এনথ্রাক্স, বার্ড ফ্লু
প্রভৃতির মতো ভয়াবহ জেনেটিক
রোগের প্রাদুর্ভাবের ফলে আমাদের
দেশে দিন দিন
ভেটেরিনারিয়ানদের চাহিদা ও
কাজের সুযোগ বেড়েই চলেছে। ফলে
ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে
ক্যারিয়ার শুরুর অল্পদিনের মধ্যেই
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। ফলে
এই বিষয়টির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন এখনকার
তরুণেরা।
পড়তে যে যোগ্যতা লাগবে: এ
পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার
মাধ্যমে একজন দক্ষ প্রাণী চিকিত্সক
হিসেবে দেশের সেবা করার জন্য
আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ হতে
পাস করতে হবে। সেই সাথে
জীববিজ্ঞান বিষয়টি অবশ্যই আপনার
বিষয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ: ডিভিএম পাস
করার পর একজন ভেটেরিনারিয়ান
বাংলাদেশেই উচ্চতর শিক্ষা অর্জন
করতে পারেন। দেশের যে কোন
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
মাইক্রোবায়োলজি,
বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মেসী,
পাবলিক হেলথসহ সকল সাবজেক্টে এমএস
ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। সেই
সাথে উন্নত বিশ্বের যে কোনো
দেশে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন
বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে
অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অন্য পেশা হতে
প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
যে সব বিষয়ে পড়তে পারেন:
ভেটেরিনারি সায়েন্স ও মেডিসিন
বিষয়ের কোর্সগুলো সাধারণত পাঁচ
বছরের হয়ে থাকে। এর মূল উপজীব্য
হলো পশু-পাখির চিকিত্সা। এর
সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সব বিষয়ের
বাইরেও ওষুধবিদ্যা এবং
চিকিত্সাবিজ্ঞানের অনেককিছুই
পড়ানো হয়ে থাকে বিশেষায়িত এই
কোর্সে। বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ
ও চিটাগং ভেটেরিনারি অ্যান্ড
অ্যানিমেল সায়েন্সেস
ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে
অ্যানাটমি, প্যাথলজি, ফিজিওলজি,
সার্জারি ইত্যাদি বেশকিছু বিভাগে
পড়ার সুযোগ। এর বাইরেও বেশকিছু
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি ও
অ্যানিমেল সায়েন্স পড়ানো হয়ে
থাকে। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই
পড়ালেখার শেষে রয়েছে
ইন্টার্নশিপের সুযোগ।
আপনার সুযোগ: বর্তমান সময়ে
ভেটেরিনারি সায়েন্স বা
পশুচিকিত্সার বেশ ভালো চাহিদা
রয়েছে। দেশের বাইরেও চাকরির
সুযোগ ছাড়াও রয়েছে উচ্চতর
গবেষণার। এসব বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
অর্জনের পরেই চাকরিতে প্রবেশের
সুযোগ পাওয়া যায়। তবে স্নাতক
ডিগ্রি অর্জনের পর স্নাতকোত্তর
ডিগ্রি অর্জন করতে পারলে সেটা
অবশ্যই আপনাকে এগিয়ে রাখবে। এসব
বিষয়ে পড়ালেখা শেষে চাকরির
ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে দেশের কৃষি
সংক্রান্ত বিভিন্ন ফার্ম। এসব ফার্মে
ভেটেরিনারি ডিগ্রিধারীদের
অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া যেসব এনজিও পশুচিকিত্সা ও
প্রাণীদের নিয়ে কাজ করছে, সে সব
এনজিওতেও এসব বিষয়ের
শিক্ষার্থীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ভেটেরিনারি অফিসার হিসেবে
সরকারি চাকরির পদে এ বিষয়ে
ডিগ্রিধারীদের রয়েছে একাধিপত্য।
আর বড় বড় পোল্ট্রি ও ডেইরি
ফার্মগুলোতেও এই ডিগ্রিধারীদের
ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
পড়বেন যেখানে: চট্টগ্রামের চিটাগং
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল
সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি ও চারটি
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশে
মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ বা
বিভাগ রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ),
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
কৃষি অনুষদে রয়েছে ভেটেরিনারি
সায়েন্স বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পটুয়াখালী ও
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়েও ভেটেরিনারি
সায়েন্স অনুষদ রয়েছে। এ ছাড়া
ঝিনাইদহে রয়েছে ঝিনাইদহ সরকারি
ভেটেরিনারি কলেজ।
ভর্তি তথ্য ও আবেদন প্রক্রিয়া: যে সব
প্রতিষ্ঠানে ভেটেরিনারি সায়েন্স
পড়ানো হয়, তাদের নিজ নিজ
প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেই ভর্তি ও
আবেদন প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য পাওয়া
যাবে। নিচের তালিকায় এসব
প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ওয়েবসাইটের
ঠিকানা তুলে ধরা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসমূহ
 চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি
বিশ্ববিদ্যালয়: www.cvasu.ac.bd
 বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়: www.bau.edu.bd
 শেরেবাংলা কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়: www.sau.edu.bd
 সিলেট কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়: www.sau.ac.bd
 শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়:bsmrau.edu.bd
 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: www.ru.ac.bd
 হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়:
www.hstu.ac.bd
 পটুয়াখালী প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়: www.pstu.ac.bd

Comments

Popular

Featured Video